ওমানের মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন ১৭৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি। দেশটিতে করোনা প্রতিরোধে সম্প্রতি ১২ টি দেশের প্রবাসীদের ওমানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। ফলে ওমানের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় মাস্কাট বিমানবন্দরে আটকে আছে এই প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
এদিকে ওমানের পার্শ্ববর্তী দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সি ক্যাটাগরিতে থাকলেও ওমানকে অতিঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় নাম দেওয়াতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওমান প্রবাসীরা। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কমিউনিটি সংগঠকরা।
তাদের মতে, ওমান কোনো অবস্থাতেই অতি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় আসতে পারে না। গত কিছুদিন ধরে ওমানে আক্রান্তের হার নিম্নমুখী রয়েছে। মৃত কিছুটা বাড়লেও অন্য দেশগুলোর মতো নিয়ন্ত্রণহীন নয়। তাছাড়া এই মুহূর্তে বিশ্বের কোনো দেশের অতি ঝুঁকির তালিকায় নাম নেই ওমানের।
এমন সিদ্ধান্তের বেড়াজালে গত শনিবার রাতে ওমানের মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকাগামী দুটি বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে প্রায় ২০০ যাত্রী, যাদের মধ্যে দেশটির দূর-দূরান্তের অনেক যাত্রীও ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে যাত্রার কয়েক ঘণ্টা আগে হঠাৎ করে দেওয়া বেবিচকের নতুন নির্দেশনার কথা কারো জানা ছিল না তাদের।
বিমানবন্দরে আসার পর যাত্রীরা নির্ধারিত ফ্লাইট ছাড়ার কিচ্ছুক্ষণ পূর্বে ফ্লাইট বন্ধের কথা জানতে পারেন। দুইটি ফ্লাইটের মধ্যে একটি ওমান এয়ার এবং অপরটি ছিলো সালাম এয়ার। এরমধ্যে ওমান এয়ারে বাংলাদেশি যাত্রীর সংখ্যা ছিলো ৩৭ জন এবং সালাম এয়ারে যাত্রী সংখ্যা ছিলো ১৪২ জন।
বাংলাদেশের এমন সিদ্ধান্তের ফলে শুধু প্রবাসীদের ভোগান্তিই বাড়াবে না, তাদের মধ্যে সরকারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবও দেখা দেবে বলে জানিয়েছেন ওমান বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এমন মনগড়া সিদ্ধান্ত বাতিলে পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।